Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
যথাযোগ্য মর্যদায় কালুখালী উপজেলায় ৪ নভেম্বর/২০২৩ খি. শনিবার ৫২ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালন করা হয়।
বিস্তারিত

 অনুষ্ঠান সূচীঃ

সকাল  ১০.৩০টাঃ   জাতীয়  পতাকা ও   

                       সমবায় পতাকা উত্তোলন।

সকাল  ১১.০০টাঃ  বর্ণাঢ্য সমবায় র‌্যালী। 

সকাল  ১১.৩০টাঃ   আলোচনা সভা। 

                       সভাপতি, প্রধান অতিথি, 

                       আমন্ত্রিত অতিথি ও

                       সুধীবৃন্দের আসন গ্রহন।

                       পবিত্র কোরআন   

                       তেলাওয়াত ও গীতাপাঠ।

                       উপজেলা সমবায় অফিসার

                       এর স্বাগত বক্তব্য।

                       সমবায়ী ও সুধীবৃন্দের

                       বক্তব্য।

                       বিশেষ অতিথিবৃন্দের 

                       বক্তব্য।

                       প্রধান অতিথির বক্তব্য।

                       পুরস্কার বিতরণ।

                       সভাপতির সমাপনী বক্তব্য

                       ও আপ্যায়ন।


৫২ তম জাতীয় সমবায় দিবস—২০২৩ উপলক্ষে কালুখালী উপজেলা সমবায় দপ্তর ও সমবায়ী কতৃর্ক আয়োজিত র‌্যালী পরবর্তী আলোচনা সভার সম্মানিত সভাপতি, উপস্থিত প্রধান অতিথি, উপস্থিত বিশেষ অতিথিবৃন্দ, উপস্থিত অত্র উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপস্থিত সুধী, সাংবাদিক ও অত্র উপজেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতি থেকে আগত সমবায়ীবৃন্দ সবাইকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও সমবায়ী শুভেচ্ছা। আসসালামু আলাইকুম। প্রতিবছর নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবার দেশব্যাপি জাতীয় সমবায় দিবস পালন করা হয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ অত্র উপজেলায় এই দিবস পালন করা হচ্ছে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ” সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ।” 

                      সৃষ্টির শুরুতে মানুষ যখন বন জঙ্গলে পাহাড় পর্বতের গুহায় বসবাস করত তখন তারা দলবদ্ধভাবে বসবাস করার তথা সমবায়ের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করেছে। এরুপ ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা সমবায়েরই একটি রুপ। সমবায়ের মৌলিক চেতনা হল সম্মিলিত কর্ম প্রচেষ্টা অর্থাৎ সকলে মিলেমিশে কাজ করা। সমবায় হচ্ছে মানুষে মানুষে সামাজিক ও অথনৈতিক অসাম্য বিলোপ করার, নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিত এবং সুষম সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার অন্যতম মাধ্যম।

                     সমবায় সংবিধান স্বীকৃত খাত। শিল্প বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমবায় সংগঠনের গোড়াপত্তন হয়েছিল ১৮৪৪ সালে। ইংল্যান্ডের রচডেলের তাঁতীদের পাইওনিয়ার সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে গড়ে উঠেছিল সদস্যদের আগ্রহ উদ্যেগ ও সীমিত সম্পদে। কালের পরিক্রমায় সমবায় সমিতি গঠন, নিবন্ধন ও পরিচালনার জন্য আইন প্রণয়নের প্রয়োজন দেখা যায়। ফলে ১৯০৪ সালে সমবায় ঋনদান সমিতি আইন জারী করা হয়। অনেক অধ্যাদেশ জারীর পর্যাক্রমিক হিসাবে ২০০১ সালে প্রণীত সমবায় সমিতির আইন/২০০১ (সংশোধিত ২০০২ও ২০১৩) এবং সমবায় সমিতির বিধিমালা/২০০৪ (সংশোধিত ২০২০) খ্রিঃ জারি করা হয়। চলতি সনে অত্র দপ্তর হতে ০১ টি প্রাথমিক সমবায় সমিতি নিবন্ধিত হয়। সমবায় বিভাগ সমিতিসমূহের অডিট কার্য সম্পাদন, সমিতি পরিচর্যা, সমিতি পরিদর্শন, বার্ষিক/বিশেষ সাধারণ সভা, সমিতি নীট লাভের উপর ধার্যকৃত অডিট ফি, অডিট ফি এর ভ্যাট ও সিডিএফ আদায় করে। এ বছর শতভাগ ধার্যকৃত রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও সমবায়ীদের জন্য ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণ ও আঞ্চলিক সমবায় শিক্ষায়তন ফরিদপুরে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। 

                    কালুখালী উপজেলায় বর্তমানে ১২৫ টি প্রাথমিক সমবায় সমিতি লিঃ রয়েছে। ০১ টি পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ভুক্ত কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ রয়েছে যার প্রাথমিক সমবায় সমিতির সংখ্যা ৭৯ টি। সমিতি গুলোর মোট শেয়ার মূলধনের পরিমান ৮১২৭৬৫০/— টাকা, মোট সঞ্চয় আমানতের পরিমান ১৫২৩৭৫৯৩/— টাকা। সমিতি গুলো সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন পণ্য ক্রয়, গরু—ছাগল ক্রয়সহ উৎপাদনমূখী বিভিন্ন খাতে ঋণ প্রদান করে দেশের আর্থ—সামাজিক উন্নয়নে ভুমিকা পালন করছে। 

                   ১৯৭২ সালের ৩ জুন বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন আয়োজিত সম্মেলনে ভাষণ দানকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে এই হচ্ছে আমার স্বপ্ন। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণমুখী সমবায় আন্দোলনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কেননা সমবায়ের পথ সমাজতন্ত্রের পথ, গণতন্ত্রের পথ। সমবায়ের মাধ্যমে গরিব কৃষকরা যৌথভাবে উৎপাদন যন্ত্রের মালিকানা লাভ করবে। অন্যদিকে অধিকতর উৎপাদন বৃদ্ধি ও সুষম বণ্টন ব্যবস্থায় প্রতিটি ক্ষুদ্র চাষী গণতান্ত্রিক অংশ ও অধিকার পাবে। জোতদার ধনী চাষির শোষণ থেকে তারা মুক্তিলাভ করবে সমবায়ের সংহত শক্তির দ্বারা। একইভাবে কৃষক, শ্রমিক, তাঁতি, জেলে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যদি একজোট হয়ে পুঁজি এবং অন্যান্য উৎপাদনের মাধ্যম একত্র করতে পারেন, তবে আর মধ্যবর্তী ধনিক ব্যবসায়ী—শিল্পপতিগোষ্ঠী তাদের শ্রমের ফসলকে লুট করে খেতে পারবে না। সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামবাংলায় গড়ে উঠবে ক্ষুদ্র শিল্প, যার মালিক হবে সাধারণ কৃষক, শ্রমিক এবং ভূমিহীন নির্যাতিত দুঃখী মানুষ। সমাজতন্ত্র স্থাপনের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই সমস্ত বড় শিল্প, ব্যাংক, পাটকল, চিনিকল, সুতাকল ইত্যাদি জাতীয়করণ করেছি। জমির সর্বোচ্চ মালিকানা সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছি। আজ সমবায় পদ্ধতিতে গ্রামে গ্রামে, থানায়, বন্দরে গড়ে তুলতে হবে মেহনতি মানুষের যৌথ মালিকানা। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের বিনিময়ে পাবে ন্যায্যমূল্য, শ্রমিকরা পাবে শ্রমের ফল ভোগের ন্যায্য অধিকার।’

                 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ” আমরা রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সমবায়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থ—সামাজিক উন্নয়নে সমবায়কে অগ্রাধিকার দিয়েছি। এ মূহুর্তে সরকারের প্রচেষ্টা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। টেকসই উন্নয়নকে সুনিশ্চিত করতে হলে সমবায় আদর্শ ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে হবে।”


প্রধান অতিথির ভাষণঃ জনাব মোঃ এনায়েত হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, কালুখালী, রাজবাড়ী সমবায় দিবসের ভাষণ দেন। তিনি ”সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। সমবায়ের মাধ্যমে কিভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন।

বিশেষ অতিথির ভাষণঃ জনাব আকামত আলী মন্ডল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সার্জেন্ট (অবঃ), কালুখালী, রাজবাড়ী বক্তব্য রাখেন। তিনি সমবায দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। সমবায়ের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান নিয়ে আলোচনা করেন।


এছাড়াও সমবায়ীর বক্তব্যে কালুখালীইউসিসিএ লিঃ এর সভাপতি জনাব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন সমবায়ের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

জনাব খোন্দকার মোঃ হাফিজুল ইসলাম (সহঃ অধ্যাপক) দেশের আর্থ—সামাজিক উন্নতি সাধনে সমবায়ের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।         

সভাপতির ভাষণঃ জনাব মেহেরুন্নাহার , উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারঃ), কালুখালী,  রাজবাড়ী বক্তব্য রাখেন।তিনি ”সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যের উপর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। কিভাবে সমবায়ের আন্দোলনকে আরো জোরদার করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন। মানি লন্ডারিং, বাল্যবিবাহ রোধ, ইভটিজিং, মাদক এবং আইন শৃংখলা রক্ষারআহবান জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করেন।



ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
06/11/2023
আর্কাইভ তারিখ
11/11/2026